প্রণয়ী পাঠাগার শুধু একটি অনলাইন পাঠাগার নয় — এটি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত একটি মানবিক উদ্যোগ। এখানে সাহিত্য, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বইগুলোকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে সমাজে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা এবং জ্ঞান বিনিময়ের একটি মুক্ত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্যোগকে টেকসই ও আরও সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা শুরু করেছি “স্বেচ্ছায় দান” প্রক্রিয়া — যেখানে আপনি নিজে থেকে জ্ঞান, সাহিত্য, গবেষণা, প্রযুক্তি বা অর্থ দান করে অংশ নিতে পারেন।
আপনি কীভাবে দান করতে পারেন?
- সাহিত্য ও গবেষণার পিডিএফ বই দান: আপনি যদি কোনো বইয়ের লেখক, প্রকাশক বা স্বত্বাধিকারী হন, তাহলে আপনার বইটি পাঠাগারে যুক্ত করে অসংখ্য পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এতে আপনি নতুন পাঠক পাবেন এবং পাঠাগার আরও সমৃদ্ধ হবে।
- তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বই দান: তরুণ প্রজন্মকে আইটি, প্রোগ্রামিং, সাইবার নিরাপত্তা বা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে সচেতন করতে আপনার লেখা বা প্রকাশিত বইগুলো এখানে যুক্ত করতে পারেন।
- অর্থ দান: পাঠাগারের প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণ, সার্ভার খরচ, বই সংযোজন, স্থায়ী প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আপনি অর্থ সহায়তা করতে পারেন।
কপিরাইট ও পাঠের অনুমতি সম্পর্কিত নির্দেশনা
প্রণয়ী পাঠাগার সর্বদা লেখক, প্রকাশক ও কনটেন্ট মালিকদের মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
আপনার দানকৃত বই বা পিডিএফ শুধুমাত্র অনলাইন পাঠের জন্য উন্মুক্ত থাকবে —
অর্থাৎ, দর্শকরা বইটি অনলাইনে খুলে পড়তে পারবে, কিন্তু ডাউনলোড, কপি বা পুনঃপ্রকাশ করতে পারবেন না।
প্রতিটি দানকৃত বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করি যে,
“এই বইটির সকল কপিরাইট মূল লেখক/প্রকাশকের”,
এবং পাঠাগার কেবলমাত্র ‘পড়ার সুযোগ প্রদানকারী মাধ্যম’ হিসেবে কাজ করছে।
ফলে, আপনার বই পাঠাগারে যুক্ত হওয়ার পরেও এর সমস্ত স্বত্বাধিকার আপনারই থাকবে।
ভবিষ্যতে আপনি চাইলে বইটি সরিয়ে নেওয়ার বা সম্পাদনার অনুরোধও জানাতে পারবেন।
এতে লেখক ও প্রকাশক উভয়েরই মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত থাকে এবং পাঠাগারেও জ্ঞানের মুক্ত প্রবাহ বজায় থাকে।
নিবন্ধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া
দানের জন্য আপনাকে প্রথমে পাঠাগারে একটি ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
এরপর “স্বেচ্ছায় দান” ফর্মে গিয়ে বই বা অর্থ দানের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে।
আমাদের টিম আপনার জমাকৃত তথ্য যাচাই করে নৈতিক ও আইনি যাচাই শেষে তা প্রকাশের অনুমোদন দেবে।
কপিরাইট যাচাইয়ের অংশ হিসেবে আমরা লেখক বা প্রকাশকের স্বত্বাধিকার সংক্রান্ত লিখিত সম্মতি বা অনলাইন অনুমোদন সংগ্রহ করি।
এটি ভবিষ্যতে যেকোনো আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।
আপনার অবদান, আমাদের অনুপ্রেরণা
জ্ঞান ও সাহিত্য কখনও একার সম্পদ নয় — এটি ভাগাভাগি করার জন্যই সৃষ্টি।
আপনি যখন একটি বই, গবেষণাপত্র বা সামান্য অর্থ দান করেন,
তখন আপনি কেবল পাঠাগারের নয়, পুরো সমাজের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেন।
প্রণয়ী পাঠাগার আপনার প্রতিটি দানের যথাযথ মূল্যায়ন করবে,
এবং তা যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয় — সে নিশ্চয়তাও প্রদান করবে।
আমাদের স্বপ্ন, এমন একটি ডিজিটাল পাঠাগার গড়ে তোলা, যেখানে
“জ্ঞান হবে সবার জন্য উন্মুক্ত, তবে সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষিত”।