গোবিন্দচন্দ্র দাস
লেখক পরিচিতি
গোবিন্দচন্দ্র দাস (১৬ জানুয়ারি ১৮৫৫ – ১ অক্টোবর ১৯১৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমসাময়িক। তিনি ঢাকা জেলার ভাওয়ালের জয়দেবপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং শিক্ষাজীবনের শুরু করেন জয়দেবপুর মাইনর স্কুলে, পরে ঢাকা নর্মাল স্কুল ও ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে অধ্যয়ন করেন। যতোদূর জানা যায়, তার শিক্ষাজীবন চলাকালীন অর্থের অভাব ও ব্যক্তিগত চিত্তবৈর্যতার কারণে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে কষ্ট ভোগ করেছেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন এবং ভাওয়াল রাজপরিবারের আশ্রয়ে থাকাকালীন কালীপ্রসন্ন ঘোষের সঙ্গে বিরোধের কারণে নির্বাসিত হয়েছিলেন, যা তার কবিতায় ব্যথা ও বেদনার প্রতিফলন ঘটায়। গোবিন্দচন্দ্র দাসের সাহিত্যকর্মে পূর্ববঙ্গের প্রকৃতি, মানবিক অনুভূতি, পত্নীপ্রেম এবং বাস্তববোধের গভীর প্রতিফলন পাওয়া যায়। তাকে ‘স্বভাব কবি’ বলা হয় তার আন্তরিকতা এবং সরল প্রকাশধারার জন্য। তিনি প্রায় দশটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রসূন (১৮৭০), প্রেম ও ফুল (১২৯৪ বঙ্গাব্দ), কুঙ্কুম (১২৯৮ বঙ্গাব্দ), কস্ত্তরী (১৩০২ বঙ্গাব্দ), চন্দন (১৩০৩ বঙ্গাব্দ), ফুলরেণু (১৩০৩ বঙ্গাব্দ) এবং ব্যঙ্গধর্মী মগের মুল্লুক। এছাড়াও, তিনি গীতার অনুবাদ করেছেন এবং ‘স্বদেশ’ কবিতার মাধ্যমে শিক্ষিত বিলেতফেরত সমাজের সমালোচনা করেছেন। তাঁর শেষ জীবনে অসুস্থতার কারণে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছিলেন।
বইসমূহ
গোবিন্দচন্দ্র দাস-এর কোনো বই পাওয়া যায়নি।