কালীপ্রসন্ন সিংহ
লেখক পরিচিতি
কালীপ্রসন্ন সিংহ (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৪০ – ২৪ জুলাই ১৮৭০) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক, সমাজসংস্কারক এবং নাট্যসাহিত্য পৃষ্ঠপোষক, যিনি মাত্র তিরিশ বছরের জীবনকালে বাংলা সাহিত্য ও সমাজে অমুল্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি কলকাতার জোড়াসাঁকোর প্রখ্যাত “সিংহ” পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ছয় বছর বয়সে পিতৃস্নান হারানোর পরও নিজের অধ্যবসায় ও স্মরণশক্তির কারণে ইংরেজি, বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। কালীপ্রসন্ন শিশু বয়সেই বিদ্যোৎসাহিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেন, যা হিন্দু থিয়েটার ও সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি নিজে নাটকে অভিনয় ও রচনা করেন এবং বাংলা সাহিত্যে কথ্যভাষায় সামাজিক সমালোচনা হিসেবে হুতোম প্যাঁচার নক্শা রচনা করেন। এছাড়াও, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তত্ত্বাবধানে মহাভারতের আঠারো খণ্ডের বাংলা গদ্য অনুবাদ সম্পন্ন করেন, যা বাংলা সাহিত্যে এক বিপ্লবের সূচনা করে। সমাজকল্যাণে কালীপ্রসন্ন বিধবা পুনর্বিবাহের সমর্থক ছিলেন, দরিদ্র ও বিধবা নারীদের কল্যাণে অর্থ দান করতেন এবং নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনায়ও তার অবদান উল্লেখযোগ্য, যেমন বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা, পরিদর্শক ও সারবত্ত্বা প্রকাশিকা। তার জীবন ছিল অতি সংক্ষিপ্ত হলেও সাহিত্যে, সমাজকল্যাণে এবং ভাষা ও নাট্যসংস্কৃতিতে যে অবদান রেখেছিলেন, তা বাংলার ইতিহাসে আজও স্মরণীয়।
বইসমূহ
কালীপ্রসন্ন সিংহ-এর কোনো বই পাওয়া যায়নি।